চলতি ফুটবল বিশ্বকাপ আসরে ফের নিরাবরণ হলেন ক্রোয়েশিয়া দলের লাস্যময়ী অনুরাগী ইভানা নল। ৩০ বছর বয়সি ইভানা ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের সময় দলের জন্য পোশাক খুলে রাতারাতি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেছিলেন। ২০২২-এর বিশ্বকাপেও দলের জন্য স্বল্পবসনে হাজির হলেন তিনি।
ইভানাকে ইতিমধ্যেই ক্রোয়েশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ক্রোয়েশিয়াস সেক্সিয়েস্ট চিয়ারলিডার’-এর তকমা দিয়েছে। কারণ এই সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইভানা স্বল্পবসনা হলেই ক্রোয়েশিয়া দলের তামাম অনুরাগীদের মনে ঝড় ওঠে। ২০২২ বিশ্বকাপে ইভানাকে ক্রোয়েশিয়ার তরফে কাতার পাঠানো হয়েছে।
বুধবার গ্রুপ এফ-এ ক্রোয়েশিয়া এবং মরক্কো মুখোমুখি হয়েছিল। আর সেই ম্যাচেও লুকা মদ্রিচদের সমর্থনে পৌঁছে যান ইভানা। ইভানার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফলোয়ারদের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার। বুধবারের ম্যাচের ঠিক আগেই ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবিগুলি আপলোড করেন ইভানা। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিকিনি পরে সমুদ্রসৈকতে উত্তাপ বাড়াচ্ছেন ইভানা। ইভানার বিকিনিতে ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় পতাকার ছাপ স্পষ্ট। কোনও রকমে বক্ষযুগল ঢাকা। এই ছবিগুলিতে ইভানার হাসি যেন আর ধরছে না। সমুদ্রতটে বালির উপর দাঁড়িয়েও একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন ইভানা।
ইভানার ক্রোয়েশিয়া দলের জন্য প্রাণপাত করলেও তাঁর জন্ম কিন্তু জার্মানিতে। পরে তিনি পরিবারেরর সঙ্গে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে চলে যান। ছোট থেকেই ইভানা ফুটবলের একনিষ্ঠ ভক্ত। আর সেই কারণেই তাঁর বাবা তাঁকে ছোট থেকেই প্রায় সমস্ত বড় ম্যাচ দেখাতে নিয়ে যেতেন।
২০১৮ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে ফাইনালে পৌঁছয় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু বিপক্ষ ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় তারা। ইভানা ঘোষণা করেছিলেন, ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল জিতলে তিনি সম্পূর্ণ বস্ত্রহীনা হয়ে ক্যামেরার সামনে ধরা দেবেন।
ক্রোয়েশিয়ার লাস্যময়ী মডেল ইভানাকে আগেও বিকিনি পরে ইনস্টাগ্রামে একাধিক ছবি দিতে দেখা গিয়েছে। তবে এর মধ্যে বেশির ভাগ বিকিনিতেই দেশের পতাকার নকশা করা রয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার পতাকার ডিজাইনের এই বিকিনিগুলির নাম ইভানা দিয়েছেন ‘ক্রোকিনি (ক্রোয়েশিয়া এবং বিকিনি শব্দের সম্মিলিত রূপ)’। বর্তমানে ইভানা আমেরিকায় থাকেন।
বিশ্বকাপে দেশকে সমর্থন করতে সেখান থেকেই কাতার পৌঁছেছেন তিনি। তবে কাতারের বিশ্বকাপ সংক্রান্ত পোশাকবিধিকে মাথায় রেখে ইভানাকে সেখানে যেতে হয়েছে আপাদমস্তক ঢেকে। গলা থেকে পা অবধি ঢাকা পোশাকে কাতার বিমানবন্দরে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন তিনি।
এই পোশাকেও ক্রোয়েশিয়া দেশের লাল-সাদা চৌকো চৌকো নকশা স্পষ্ট। ইভানার অনুরাগীদের মতে, কাতারে স্বল্পবসনে দেশের হয়ে সমর্থন যোগাতে পারবেন না বুঝে আগেভাগেই ইনস্টাগ্রামে ওই ছবিগুলি তিনি দিয়েছেন। এই ছবিগুলি ইতিমধ্যেই প্রচুর পুরুষ-মন পুড়িয়েছে। ২০১৮-র বিশ্বকাপের মতো ক্রোয়েশিয়া এই বিশ্বকাপেও ফাইনালে উঠুক এবং এই বার ফাইনাল জিতুক, এই আশাতেই বুক বাধছেন সেই দেশের সমর্থকেরা।
দেশ জিতলে অতিরিক্ত প্রাপ্তি হিসাবে পাওয়া যেতে পারে শরীরে এক কুটো সুতো ছাড়া ইভানার নগ্ন ছবি। কিন্তু সেই স্বপ্ন সত্যি হলেও দর্শকদের অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, এ সব কিছু বিশ্বকাপ আয়োজক দেশে হবে না। ইভানা অবশ্য অপেক্ষা করতে রাজি। তবে দেশ বিশ্বকাপ জিতলে তবেই…।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।